মুসলিম হিসেবে যে ১২ টি দোয়া সম্পর্কে জানা জরুরী

মুসলিম হিসেবে যে ১২ টি দোয়া সম্পর্কে জানা জরুরি কেরে পোস্টটিতে আমরা মুমিন ভাই-বোনদের জন্য মৃত প্রয়োজনীয় যেসব দোয়া আমল করতে হবে সেসব দেওয়া নিয়ে কথা বলব।
মুসলিম হিসেবে যে ১২টি দোয়া সম্পর্কে জানা জরুরী
মুসলিম হিসেবে যে ১২ টি দোয়া সম্পর্কে জানা জরুরী
এখানে আরবিতে দোয়া এবং বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ প্রতিটি দোয়ার ফজিলত নিয়ে আলোচনা করব। আশা করি আজকের পোস্টটি পড়ে আপনারা খুবই উপকৃত হবেন। পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

নিচের যে অংশ পড়তে চানঃ

ইসলামিক দোয়া জানা কেন জরুরী  

একজন মুমিন-মুসলমান হিসেবে নিজের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ইমান ও আমলগুলোকে পরিপূর্ণ রাখতে আল কুরআন বর্ণিত দুয়া বা সূরা সমূহ আমাদের জ্ঞানকে অবশ্যই বৃদ্ধি করবে।প্রসিদ্ধ কিছু দোয়া/সুরা/সূরার অংশ সমূহ যদি জানা থাকে তাহলে আমরা সকলেই উপকৃত হবো,ইনশাআল্লাহ ।। উক্ত পোস্টে ফজিলতপূর্ণ আল-কোরআনের অংশ বর্ণনা করা হলো ।

ইসলামের চার কালেমা সমূহের গুরুত্ব

মুসলিম হিসেবে যে ১২ টি দোয়া সম্পর্কে জানা জরুরী তার আগে আমাদের ইসলামের ভিত্তি সম্পর্কে অবগত হতে হবে। ইসলামের চার কালেমা সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। তবেই মুসলিম হিসেবে নিজেকে দাবি করা যাবে। মূলত ইসলামের পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে " কালেমা "সর্বপ্রথম। যা জানা আমাদের প্রত্যেকের জন্যই অতীব জরুরি। নিচে ৪ কালেমার বর্ণনা করা হলো ... 
      আউযুবিল্ল্যা-হিমিনাস শায়ত'নির রজীম
         বিসমিল্ল্যাহির রহমানুর রহিম

কালেমায়ে তাইয়িবাহঃ (পবিত্র বাক্য)
বাংলা উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লহু মুহাম্মাদুর রসূল্লহ
অর্থঃ আল্লাহ তায়ালা  ব্যাতিতার কোন মাবুদ নেই। হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহর রাসূল ।

কালিমা শুধু মুখে পাঠ করলেই হবে না,,মুখে বলার সাথে সাথে অন্তর দ্বারা কালিমার অর্থ বিশ্বাস করতে হবে এবং কালিমানুযায়ী জীবন-যাপন করতে হবে।তিনটি বৈশিষ্ট একত্রিত হলেই,তাকে পূর্ণাঙ্গ মুসলমান বলা যাবে ।যদি কালিমা কেও কেবলমাত্র মুখে পড়ে ,কিন্তু মনে মনে বিশ্বাস না করে সে 'মুনাফিক' হিসেবে গণ্য হবে।আবার এমন ও হতে পারে ,কেও মুখে পড়ে ও অন্তরে বিশ্বাস করে তবে সে অনুযায়ী জীবন-যাপন করে না সে 'ফাসিক' হিসেবে গণ্য হবে । 

এই কালেমাকে পবিত্র বাক্য এই জন্যই বলা হয়েছে যে, একজন কাফির সারাটি জীবন কুফর,শিরক, বিদআত ইত্যাদি সর্ব প্রকার গুনাহে নিমজ্জিত ছিল  , যখন (মৃত্যুর পূর্বক্ষণে) একবার কালিমা মুখে পাঠ করার সাথে সাথে অন্তরে বিশ্বাস স্থাপন করল সঙ্গে সঙ্গে তার জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে গেলো। এই মুহুত্ত্বে যদি মৃত্যু ঘটে সে নিষ্পাপ অবস্থায় বেহেশতে প্রবেশ করবে , মহান আল্লাহর অসীম রহমতে ।
কালেমায়ে শাহাদাতঃ (সাক্ষ্য বাক্য)                          

বাংলা  উচ্চারণ :
 
আশহাদু আল লাইলাহা ইল্লাল্লহু ওহাদাহু লা-শারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।

অর্থঃ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত আর কোনো ইলাহ নাই।আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে,হজরত মুহাম্মাদ মুস্তফা (সাঃ)  আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও রাসূল।

কালেমায়ে তামজীদঃ (শ্রেষ্ঠত্ববাদী বাক্য)
                                       سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّٰهُ وَاللَّٰهُ أَكْبَرُ
 বাংলা উচ্চারণ: সুবহানাল্লহি ওয়াল হামদুলিল্ল্যাহি ওয়া~লা ইলাহা ইল্লাল্লোহু ওয়াল্লোহু আকবার,ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়ুল আজিম ।

অর্থঃ মহিমান্বিত আল্লাহ্‌ ,সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ্‌র। আল্লাহ্‌ ছাড়া আর কোনো মাবুদ নেই। আল্লাহ্‌ মহান। সমস্ত পবিত্রতা আল্লাহর,সকল প্রশংসা আল্লাহ্‌র।আল্লাহ্‌ ছাড়া কোনো শক্তি নাই,কোনো ক্ষমতা নাই,তিনি সম্মানিত ,তিনি মহান।

কালেমায়ে তাওহীদঃ (একাত্ববাদী বাক্য)
                                              لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ 
বাংলা উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লোহু ওয়াহ-দাহু লা-শারিকালাহু

অর্থঃ আল্লাহ্‌ তায়ালা ব্যতিত কোন উপাস্য নেই,তিনি এক ও অদ্বিতীয়।

মহান আল্লাহ্‌র একাত্ববাদ (তিনি একক এবং একমাত্র), তিনি সর্বশক্তিমান ,সকল ক্ষমতার আধার, সকল কিছুর স্রষ্টা তিনিই , তিনি সকল কিছুর ঊর্ধ্ব , তিনি চিরঞ্জীব সত্তা ইত্যাদি সকল মৌলিক বিষয়গুলো মুখে~অন্তরে এবং কাজের মাধ্যমে স্বীকার করে নেওয়ার পরিচয় ই ইমান। যা আমাদের প্রত্যেকের জন্যই অত্যাধিক জরুরি ।

সূরা ফাতিহার গুরুত্ব এবং ফজিলত

বিসমিল্ল্যাহির রহমানুর রহিম

বাংলা উচ্চারণ:
আলহাদুলিল্ল্যাহ-হি রব্বিল আ-য়ালামিন আর রহমানুর রহীম মালিকি-ইয়েওমিদ্দিনইয়াকানা য়াবুদু ওয়া ইয়াকানাস্তায়িন ইহ্‌ দিনাস সির-তল মুসতকিম সিরতল্লা যীনা আনআম তা-আলাইহিম গইরুল মাগদু'বি আলাইহিম ওলাদ্দাল্লীন---আমীন
অর্থঃ-
পরম করুনাময় ও অতি দয়ালু আল্লাহর নামেসকল প্রশংসা জগতসমূহের পালনকর্তা আল্লাহর জন্য,যিনি অতি দয়ালু ও মেহেরবান।যিনি বিচার দিনের একমাত্র মালিক।আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং তোমারই কাছেই সাহায্য কামনা করি।আমাদের সরল পথের নির্দেশ দান করুন।তাদের পথ যাদের আপনি অনুগ্রহ দান করেছেন।তাদের পথ নয়,যারা আপনার ক্রোধের শিকার এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।

সূরা ফাতিহা কে বলা হয় পবিত্র কোরআনের সারসংক্ষেপ।ফাতিহাতুল কিতাব,উম্মুল কুরআন,আসাসুল কুরআন,সাবউল মাসানি ইত্যাদি  নামে পরিচিত এই সুরাতুল ফাতিহা।এই সূরা পবিত্র কোরআনের সর্বাধিক মর্যাদা পূর্ণ সূরা।তাওরাত যাবুর ইঞ্জিল কোরআন কোন কিতাবে এই সুরার তুলনীয় কোন সূরা নেই (বুখারি;মেশকাত ২১৪২)যে ব্যক্তি নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করল না তার সালাত  অপূর্ণাঙ্গ। রাসূলুল্লাহ (সা:) এই কথাটি তিনবার বললেন (মিশকাত ৮১৩)

মুসলিম হিসেবে যে ১২ টি দোয়া সম্পর্কে জানা জরুরী তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সূরা ফাতিহা। সূরা ফাতিহার বিশেষ মর্যাদা হলো এটিকে আল্লাহ তায়ালা নিজের ও নিজের বান্দার মধ্যে ভাগ করে নিয়েছেন একে বাদ দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব নয়।সেজন্যই এর নাম দেওয়া হয়েছে উম্মুল কুরআন।

আয়াতুল কুরসি পাঠ করার ফজিলত

মুসলিম হিসেবে যে ১২ টি দোয়া সম্পর্কে জানা জরুরী তার মধ্যে অন্যতম হলো আয়াতুল কুরসি যার অর্থ 'সিংহাসনের স্তবক'। আল কুরআনের কাকার আর ২৫৫ তম আয়াত কে বলা হয় আয়াতুল কুরসি। নিচে এর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ উল্লেখ করা হয়ছে। এছাড়াও আয়তাল কুরসির গুরুত্ব ও ফযিলত নিয়ে বিশেষ ভাবে আলচনা করা হলো।

বিসমিল্ল্যাহির রহমানুর রহিম 

বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কইয়ুম লাতা খুজু হু সিনাতু ওয়ালা নাউম। লাহু মা ফিস সামা ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ, মাং জাল্লাজি ইয়াস ফা-ও ইংদাহু ইল্লা বি ইজনিহি ইয়া-লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খলফাহুম ওয়ালা ইউহি তুু-না বিসাই ইম মিন ইলমিহি ইল্লাবিমা সা-আ  ওয়াসি ইয়া কুরসি ইউ হুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ ওয়ালা ইয়াহুদুহু হিফ জুহু মা ওয়াহুওয়াল আলীইউ আজিম।

অর্থ:আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই।তিনি জীবিত, সবকিছুর ধারক।তাকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না এবং নিদ্রাও নয়।জমিনে যা কিছু রয়েছে সবই তার।কে আছো এমন, যে সুপারিশ করবে তার কাছে তার অনুমতি ছাড়া? দৃষ্টির সামনে কিংবা পেছনে যা কিছু রয়েছে সে সবই তিনি জানেন।তার জ্ঞান সীমা থেকে তারা কোন কিছুকেই পরিবেষ্টিত করতে পারে না,কিন্তু যতটুকু তিনি ইচ্ছা করেন। তার সিংহাসন সমস্ত আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে আর সেগুলোকে ধারণ করা তার পক্ষে কঠিন নয়,তিনিই সর্বোচ্চ এবং সর্বপ্রেক্ষা মহান ৷  (২:২৫৫) 

আয়াতুল কুরসি পড়লে অনেক সাওয়াব অর্জন করা যায়। হাদিসে এসেছে, কেও যদি আয়াতুল কুরসি পড়ে বাড়ি থেকে বের হয় তাহলে ৭০ হাজার ফেরেশতা চারদিক থেকে তাকে রক্ষা করে।আয়াতুল কুরসি পড়ে ঘুমালে একজন ফেরেশতা তাকে পাহারা দেয়। এবং তার আমলনামায় আল্লাহর রহমতে সাওয়াব বাড়তে থাকে। ফজর নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যে একটি জিনিসেরই দূরত্ব থাকে, তা হলো মৃত্যু এবং কবরের আজব এতোই হালকা হয়, যেন একটি পিপড়ার কামড়ের সমান।

আমানার রাসূল বা সূরা বাকার শেষ ২ আয়াত কেন এত ফজিলতপূর্ণ

সূরা বাকারার ২৮৫-২৮৬ নাম্বার আয়াত 'আমানার রাসুল' হিসেবে পরিচিত। এটি সূরা বাকারার শেষ দু'আয়াত। 
 
বিসমিল্ল্যাহির রহমানুর রহিম

বাংলা উচ্চারণ:
আমানার রাসুলুহু বী-মাউং জিলা ইলাইহি মির রববিহি ওয়াল মুমিনুন কুল্লুন আ-মানা বিল্ল্যাহি ওয়ামালা ইকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়ারসূলিহি, লা-নুফার রিকু বায়না আহাদিম মির রসুলিহী ওয়া কুলূ ছামি'না ওয়া আত্-না গুফ্-র নাকা রব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসীর।
লা ইউকালিলফুল্লা-হু নাফছান ইল্লা-ইছ'আহা-লাহা-মা-কাছাবাত ওয়া 'আলাইহামাক্তাছাবাত রব্বানা-লা-তূআ-খিযনা-ইন নাছীনা_আও আখতা'না রব্বানা ওয়ালা-তুহাম্মিলনা-মা-লা-তা-কাতা লাকা-বিহী ওয়া'ফু'আন্না-ওয়াগফিরলানা-ওয়ারহামনা-আনতা মাওলা-না-ফানসুরনা-'আলাল কওমিল কা-ফিরীন।

অর্থ: রাসুল এবং মুমিনগণ সে কিতাবের উপর ঈমান এনেছে যা তার প্রতি তার প্রভুর পক্ষ থেকে নাযিল করা হয়েছে।প্রত্যেকেই ঈমান এনেছে আল্লাহর উপর,তার ফেরেশতাদের ওপর আর কিতাবসমূহের উপর এবং তার রাসূলগনের উপর। (তারা বলে) আমরা তার রাসূলদের কারো মধ্যে পার্থক্য করি না;তারা বলে আমরা শুনলাম এবং আনুগত্য করলাম,হে আমাদের রব,(আমরা)তোমার ক্ষমা চাই এবং তোমার কাছেই ফিরে যাওয়ার জায়গা।

আল্লাহ কোন ব্যক্তিকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না,সে ব্যক্তির জন্য তাই রয়েছে যা সে অর্জন করেছে এবং তার ওপর তাই কর্তাবে যা সে কামাই করেছে।হে আমাদের রব আমরা যদি ভুলে যাই অথবা ভুল করি তাহলে আমাদেরকে পাকড়াও করোনা।হে আমাদের রব আমাদের ওপর এমন দায়িত্ব চাপিয়ে দিও না যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর চাপিয়েছিলে।

হে আমাদের রব যে বোঝা বহনের শক্তি আমাদের নেই তা তুমি আমাদের উপর চাপিয়ে দিও না, তুমি আমাদেরকে মার্জনা করো,আমাদের ক্ষমা করে দাও,আমাদের উপর দয়া করো তুমিই আমাদের অভিভাবক অতএব কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য কর। সূরা বাকারার শেষ এ দুটি আয়াত পাঠের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে এবং শেষ এই আয়াতে অত্যন্ত জরুরি কয়েকটি দোয়া রয়েছে, এসব দোয়া কবুল হওয়ার ওয়াদাও আল্লাহর পক্ষ হতে করা হয়েছে।

বিশ্বনবী (সা:) বলেছেন,,,
"এইমাত্র আকাশের একটি দরজা খোলা হয়েছে, যেটি এর আগে কখনোই খোলা হয়নি, এ দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা অবতরণ করছেন এবং এর আগে তিনি কখনো পৃথিবীতে অবতরণ করেননি। এ ফেরেশতা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে সালাম দিয়ে বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ করুন আপাদমস্তক দুটি নূরের যা আপনার আগে আর কোন নবীকে দেওয়া হয়নি , 

১/ ফাতিহাতুল কিতাব অর্থাৎ সূরা ফাতিহা 
২/ সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত 

 উভয় আয়াতে দোয়া আছে।আল্লাহর উসিলা করে,
আপনি এসব দুয়ার যে অংশই পাঠ করবেন, মহান আল্লাহ আপনাকে অবশ্যই রহমত দান করবেন(কবুল করবেন) --------- সহিহ মুসলিম  

"আফিয়াহ'' বা নিরাপত্তা~সুস্থতা~কষ্ট হতে মুক্তি লাভের দোয়া

       বিসমিল্ল্যাহির রহমানুর রহিম
   
         বাংলা উচ্চারণ: আল্লহুম্মা ইন্নি আস-আলুকাল 'আ-ফিয়াহ ।
অর্থ: হে আল্লাহ!তোমার কাছে আমি নিরাপত্তা ও সাহায্য সুস্থতা কামনা করছি। হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে 'আফিয়াহ' চাই।

আফিয়াহ অর্থ দুঃখ কষ্ট থেকে মুক্তি থাকা। যদি আমি বা আপনি সুস্থ থাকেন আফিয়াহ তে আছেন, প্রয়োজন মাফিক রিজিক থাকে,আপনার জীবনকে আপনি উপভোগ করতে পারছেন, যদি আপনার সন্তানেরা সুরক্ষিত থাকে, সব ধরনের অনিষ্ঠ থেকে হেফাজতে আছেন মানেই আপনি আফিয়াহ তে আছেন।যদি আপনাকে পাপের জন্য ক্ষমা করে দেওয়া হয়, আপনি বা আমি আফিয়াহতে আছি।আবার যদি কোন শাস্তি বা আজাব হতে আপনি বেচে আছেন আপনি আফিয়াহ হতে আছেন, 

সুবহানাল্লাহ ! সুতরাং ব্যাপক অর্থবোধক এই দোয়ার মাধ্যমে  আমরা আফিয়া চাচ্ছি  মানে আপনি বা আমি আল্লাহকে বলছি তিনি যেন আপনাকে বাঁচিয়ে রাখেন যেকোনো যন্ত্রণা কষ্ট অসচ্ছলতা ক্ষতি ও পরীক্ষা থেকে দুনিয়া আখেরাতের যাবতীয় মুসিবত থেকে ,
রাসূলুল্লাহ (সা:) তার প্রিয় চাচাকে বলেছেন, "আপনি আল্লাহর কাছে আফিয়াহ চান, আফিয়াহ এর চেয়ে উত্তম আর কিছু হতে পারে না" ( তিরমিজি; ৩৫১৫ )

সূরা আল হাশরের শেষ ৩ আয়াত যা অবশ্যই জানা দরকার

বিসমিল্ল্যাহির রহমানুর রহিম

বাংলা উচ্চারণ:
হুওয়াল্ল-হুল্লাযী লা-ইলাহা-ইল্লা-হুওয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালা-মুল মু'মিনুল মুহাইমিনুল আঝীঝুল যাব্বারুল মুতাক্কাবির সুবহানাল্লহি 'আম্মা-ইউশ-রিকূন।হুওয়াল্ল-হুল খ-লিকুবুল বা-রিউল মুছওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা-;ইউসাব্বিহুলাহূ মা-ফিস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আর-দ্‌ ওয়াহুওয়াল আঝীঝুল হাকীম।

অর্থ: তিনি সেই আল্লাহ যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি দৃশ্যের ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞেতা। তিনি পরম করুনাময় অফুরন্ত ফলদাতা।

তিনিই সেই আল্লাহ যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই,-- রাজাধিরাজ,মহাপবিত্র,প্রশান্তিদাতা,নিরাপত্তা বিধায়ক, সুরক্ষক,মহাশক্তিশালী,মহামহীন,পরম গেরবান্বিত। সকল মহিমা আল্লাহর,তারা যা আরোপ করেছে তার বহু ঊর্ধ্বে।তিনি আল্লাহ, সৃজনকর্তা, উদ্ভাবনকর্তা, রূপদাতা, তারই হচ্ছে সর্বজ্ঞ সুন্দর নামাবলি।মহাকাশমন্ডলে ও পৃথিবীতে যারা আছে তারা তারই জপ-তপ করে,আর তিনি মহাশক্তিশালী,পরম জ্ঞানী। 

সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের অনেক গুরুত্ব ও ফজিলত রয়েছে।এ আয়াতগুলোর মধ্যে মহান আল্লাহর মাহাত্ম্যপূর্ণ গুণবাচক নামের পরিচয় সুন্দরভাবে ফুটে ওঠেছে। এ তিন আয়াতের ফজিলত সম্পর্কে---

মহানবী (সা:) বলেছেন, "যে ব্যক্তি সকালবেলা তিনবার

 আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রজিম, 
পাঠ করার পর সূরা হাশরের তিন আয়াত তেলাওয়াত করবে আল্লাহ তা'আলা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেবেন যারা সন্ধ্যা পর্যন্ত উক্ত ব্যক্তির জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকবে, এ সময়ের মধ্যে যদি লোকটি মারা যায় তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করবে আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এভাবে পাঠ করবে সেও এই একই  ফজিলত লাভ করবে। ( তিরমিজি) 

ফজিলত পূর্ণ সূরা ইয়াসিন

মহান আল্লাহর পবিত্র কুরআনে ১১৪ টি সূরা নাযিল করেছে যার মধ্যে সুরা ইয়াসিন ৩৬ তম সূরা।এর আয়াত সংখ্যা ৮৩ টি,রুকুর সংখ্যা ৫টি এবং ৭টি মুবিন রয়েছে।হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নবুওয়াত লাভের প্রথম দিকে এবং হিজরতের বহু আগে মক্কায় এ সূরাটি নাযিল হয়। এক হাদীসে সূরা ইয়াসিনকে 'আয়িমা' বলা হয়েছে এছাড়াও 'মুদাফিয়া' ও 'কাযিরা' নাম উল্লেখ রয়েছে। 

এ সূরার প্রথম আয়াত অনুসারে এ সূরার নাম "ইয়াসিন" রাখা হয়েছে ফজিলতের দিক থেকে সূরা অদ্বিতীয়, মানুষের জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্ব আলোচনায় এ সুরা বিশেষ গুরুত বহন করে।এ সূরাতে হাশর-নাসর বিশদভাবে ব্যাখ্যা-অলংকার সহকারে বর্ণিত হয়েছে।পরকালের বিশ্বাস,ঈমানের এমন একটি মূলনীতি যার উপর মানুষের সব আমল ও আচরণের বিশুদ্ধতা নির্ভরশীল।

হযরত মুহাম্মদ (সা:) বলেন, " প্রত্যেক বস্তুর ই একটা হৃদয় থাকে,আল কোরআনের হৃদয় হলো সুরা ইয়াসিন এ সূরায় মানুষকে পরকালের প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে।পরকাল ভীতি মানুষকে ভালো কাজে উৎসাহ দেয় আর হারাম কাজে থেকে বিরত রাখে,এ সূরা বুঝে নিয়মিত পাঠ করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়,আর আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনকারীর কোন গুনাহ থাকে না। 

কেন সূরা আর রহমান এত বরকতময়

আমরা এমন অনেকে আছি যারা সূরা আর রহমানের ফজিলত সম্পর্কে জানিনা প্রিয় পাঠক আসুন জেনে নেই সূরা আর রহমান পাঠ করার ফজিলত সম্পর্কে..যে ব্যক্তি প্রতিদিন এবং নিয়মিত সূরা আর রহমান পাঠ করবে তার প্রতি আল্লাহতালার রহমত বর্ষিণ হতেই থাকবে এবং তার জন্য জাহান্নামের দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।দিন দিন চেহারার সাথে সাথে আচরণ সুন্দর হতে থাকবে এবং আল্লাহর বরকতের উসিলায়  রুজি-রোজগার বেড়ে যাবে। 
চোখের রোগে আক্রান্ত কোন ব্যক্তির চোখে যদি সূরা আর রহমান তেলাওয়াত করে ফু দেওয়া হয় তাহলে তার চোখের সমস্যা থেকে ইনশাআল্লাহ মুক্তি পাবে

"ফাবি আইয়ে রব্বিকুমা তুকাজ্জিবান" এতোটুকু ১২৩ বার পাঠ করে কোন মজলিসে উপস্থিত হলে সে সেখানে উত্তম ব্যবহার ও সম্মান লাভ করবে, ইনশাআল্লাহ।।। 

জান্নাতে মহান আল্লাহ তার বাণীস্বরূপ সুরা রহমান পাঠ করবেন,সুতরাং আমাদের বুঝতে কষ্ট হচ্ছে না যে এটি কত গুরুত্বপূর্ণ সূরা। আমরা প্রতিদিন অন্যান্য আমলের সাথে সুরা রহমান কে ও আমলের সাথে রাখার চেষ্টা করতে পারি বা করবো। 

আমাদের জীবনে সূরা ওয়াকিয়ার ফজিলত ও ভূমিকা

হাদিসে এসেছে মহানবী সাঃ বলেছেন,"প্রতি রাতে যে ব্যাক্তি সূরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করবে তার জীবনে দারিদ্র্যের স্পর্শ আসবেনা। "এই বর্ণনার ভিত্তিতে সুরা ওয়াকিয়াহ কে ধন লাভের সূরা  বা 'সূরায়ে গনি'ও বলা হয়। সূরা ওয়াকিয়া নিয়মিত তিলাওয়াত করলে আল্লাহর ওয়াস্তে সম্ভাব্য ফজিলত সমূহ লাভ করা যায়,যেমন--

রিজিক বৃদ্ধি, আল্লাহর রহমত লাভ, মানসিক প্রশান্তি, আখিরাতের জন্য প্রস্তুতি সম্পর্কে ধরনাও অর্জিত হয় এ সূরার মাধ্যমে। (মিশকাত শরীফ;পৃ:১৮৯)

কিতাবে এমন ও বর্ণনা এসেছে যে সূরা আর রহমান, সূরা হাদিদ ও সূরা ওয়াকিয়া'র তেলাওয়াতকারীদের কে কেয়ামতের দিন জান্নাতুল ফেরদাউসের অধিবাসী হিসেবে ডাকা হবে। অন্য এক হাদিসে আছে, সূরা ওয়াকিয়াহ হলো ধরনাঢ্যতার সূরা। সুতরাং তোমরা নিজেরা তা পাঠ করো এবং তোমাদের সন্তানদেরকেও এই সূরার শিক্ষা দাও। অন্য এক বর্ণনায় আছে; তোমাদের নারীদেরকে এই সুরার শিক্ষা দাও। 

দুরুদে ইবরাহীম  আমাদের জানা কেন জরুরি

বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা সল্লি আ-লা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মোহাম্মাদ, কামা সল্লাইতা আলা ইবরহী-মা ওয়ালা আলী ইবরহীম ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লহুম্মা বারিক- আলা মোহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মোহাম্মদ কামা বা-রকতা আলা ইবরহী-মা ওয়ালা আলি ইবরহীম ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ 

অর্থ: হে আল্লাহ হযরত মুহাম্মদ(সা:) তার বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর যেমন তুমি হযরত ইবরহীম ও তার বংশধর এর উপর রহমত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয়ই তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। 

রাসুলুল্লাহ (সা:)এর প্রতি দরুদ পাঠ অনেক বেশি ফজিলতের। দরুদ পাঠ রহমত ও বরকত লাভের উন্নতম উপায়, স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারীমে মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি দরুদ পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন 

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, "নিশ্চয়ই আল্লাহ নবীর উপর রহমত অবতীর্ণ করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য রহমতের দোয়া করেন সুতরাং হে মুমিনগণ তোমরা তার প্রতি দরুদ পড়ো এবং অধিক পরিমাণে সালাম পাঠাও। (সূরা আহযাব, আয়াত ৫৬)

দুআয়ে কুনুত এর গুরুত্ব ফজিলত

বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্না নাসতা-ইনুকা ওয়ানাসতাগ ফিরুকা ওয়ানু-মিনু বিকা ওয়া নাতাওয়াক্কালু আলাইকা ওয়া-নুছনি আলাইকাল  খই-র। ওয়ানাস কুরুকা ওয়া লাকফুরুকা ওয়া নাখ লা~উ ওয়া নাত রুকু মাই ইয়াফ জুরুকা। আল্লাহুম্মা ই-য়াকা না-বুদু ওয়ালা কানু সল্লি  ওয়ানাস যুদু ওয়া ইলাইকা নাস আ ওয়া নাহ ফিদু ওয়ানার যু রহমা-তাকা  ওয়ানাখসা আ-জাবাকা ইন্না আজাবাকা বিলকুফফারি ,মূল হিক্‌ ।

অর্থ: হে আল্লাহ ! আমরা আপনার নিকট সাহায্য ভিক্ষা করছি।আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, আপনার প্রতি ঈমান (দৃঢ় বিশ্বাস)রাখছি এবং আপনার উপর ভরসা করছি। আপনার ওপর প্রশংসা করছি।(চিরকাল) আপনার শুকর গুজারি করব।(কখনো) আপনার না শুকরি বা কুফরি করব না। আপনার নাফরমানী যারা করে তাদের সাথে আমরা কোন সম্পর্ক রাখবো না। তাদের আমরা পরিত্যাগ করে চলব।

হে আল্লাহ আমরা একমাত্র আপনারই ইবাদত করব। (অন্য কারো ইবাদত করবো না।) একমাত্র আপনারই জন্য নামাজ পড়ব।একমাত্র আপনাকে সিজদা করব,আপনি ব্যতীত অন্য কারো জন্যে নামাজ আদায় করবো না এবং অন্য কাউকে সিজদা করব না।এবং একমাত্র আপনার আদেশ পালন ও তাবেদারীর জন্য (সর্বদা) দৃঢ় মনে প্রস্তুত আছি।(সর্বদা) আপনার রহমতের আশা এবং আপনার আযাবের ভয় হৃদয়ে পোষণ করি। নিশ্চয়ই আপনার আসল আজাব শুধু নাফরমানদের উপরই হবে। (তথাপি আমরা সেই 'আজবের ভয়ে কম্পমান থাকি) 

কিতাবের বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারি হাসান ইবনে আলী (রা:) এই দোয়াটি মোহাম্মদ (সা:)এর নিকট হতে শিখেছিলেন যে, যখন বান্দা দোয়া কুনুত পড়ে তখন মহান আল্লাহ তায়ালা বান্দার দোয়া কবুল করে নেন। আর যখন আমরা নামাজে দাঁড়িয়ে মহান আল্লাহর নিকট আনুগত্য স্বীকার করি তখন এর থেকে বড় চাওয়ার কিই-বা হতে পারে। 

আর যখন নামাজে দোয়া কুনুত পড়ে আমরা দোয়া করি তখন মহান আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করে দেন,  এর থেকে কি বড় আর কোন ফজিলত থাকতে পারে?সুতরাং দোয়া কুনতের ফজিলত বেশ গুরুত্বপূর্ণ! 

দৈনন্দিন জীবনে ফজিলতপূর্ণ বিশেষ ইসলামিক দোয়া সমূহ এবং কিছু হাদিস

  • ইহকালিন ও পরকালীন কল্যাণের দোয়া:
বাংলা উচ্চারণ:
রব্বানা আতিনা ফিদ দুনইয়া হাছানাতাও ওয়া ফিল আ-খিরতি হাছানাতাও ওয়াকি-না আযাবান নার।
 
অর্থ: হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে ইহকালীন যাবতীয় সুখ শান্তি ও পরকালীন যাবতীয় সুখ শান্তি প্রদান করুন আর দোযখের আগুন থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুন। 

  • মাতা পিতার জন্য সন্তানের দোয়া:
বাংলা উচ্চারণ:
রাব্বির হাম হুমা কামা রব্বাইয়ানিস ছগীরা

অর্থ:হে আমার প্রতিপালক! আমার মাতা পিতার প্রতি আপনি সেই ভাবে সদয় হন,তারা  শৈশবে আমাকে যেমন স্নেহ মায়া-মমতা দিয়ে লালন পালন করেছেন।

  • ঈমানের সাথে মৃত্যুবরণ করার দোয়া:
বাংলা উচ্চারণ:
রব্বানা লা-তুঝিগ কুলুবানা বা'দা ইয হাদাইতানা ওয়াহাব লানা মিল্লাদুনকা রহমাতান,ইন্নাকা আংতাল ওয়াহ-হাব। 

অর্থ:হে আমাদের প্রতিপালক! সরল পথ প্রদর্শনের পর আপনি আমাদের অন্তরকে বক্র করবেন না এবং আপনি আমাদের প্রতি অনুগ্রহ দান করুন, আপনিই মহান দাতা। 

  • গুনাহ মাফের দোয়া:
বাংলা উচ্চারণ:
রব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ-ফানা মা'আল আবরইরই  

অর্থ:হে আমাদের পালনকর্তা!আমাদের গুনাহ সমূহ মাফ করে দাও, আমাদের থেকে সকল মন্দ দূর করে দাও এবং আমাদের নেক লোকদের সাহচার্য দান করো।

  • অবাধ্য সন্তানের জন্য দোয়া:
বাংলা উচ্চারণ:
ওয়া আছলিহ লী -ফি যুররিই ইন্নি তুবতু ইলাইকা, ওয়া ইন্নি মিনাল মুছলিমীন। 

অর্থ:আমার জন্য আমার সন্তানের মধ্যে প্রীতি দান করো, অবশ্যই আমি অনুশোচনা ভরে আপনারই দিকে ফিরে আসছি আর আমি অনুগত বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।

হারিয়ে যাওয়া নবি (সাঃ) এর কিছু সুন্নাহ যে হাদিস গুলোর কথা আমরা ভুলতে বসেছি !!!

~ খুব খুশি হলে সিজদায় লুটিয়ে পড়া। (যাদুল মা'আদ, ১/৭২৭)

~ মানুষের মাঝে বিবাদ মিটিয়ে দেওয়া। (মুসনাদে আহমদ) 

~ রাতে ওজু অবস্থায় ঘুমানো। (ফাতহুল বারি, ১১/১১০) 

~ বৃষ্টি আসলে দোয়া পড়া। (সহিহ বুখারী, ১০৩২) 

~ রাতে স্ত্রীকে সাথে নিয়ে নির্জনে হাটা। (বুখারী)

~ স্ত্রীর রান্না হালাল খাবারের দোষ না ধরা। খেতে মন না চাইলে চুপ থাকা। (মুসলিম)

~ কোন কিছু জানা না থাকলে স্বীকার করা,' যে আমি জানিনা'। (বায়হাকী)

~ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জুতো না পরা। (আবু দাউদ,৪১৩৫)

~ ধোঁয়া ওঠা গরম খাবার ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত না খাওয়া। (বায়হাকী, ৪২৮)

~ খাওয়ার সময় পেট পুরে না খাওয়া। (তিরমিজি, ২৪৭৮)

~ মাঝে মাঝে খালি পায়ে হাটা। (আবু দাউদ,৪১৬০)

শেষ কথা

ইসলামি নিয়ম-কানুন অনুযায়ী জীবন অতিবাহিত করলে দুনিয়ার জীবন সুখের তো হবেই আখীরাতের জীবনেও লাভবান হওয়া যাবে ,মহান রব্বুল আলামীনের রহমতে।দৈনিক নানা ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হই যেখান থেকে মুক্তি লাভের কোনো পথ আমরা খুজে পাইনা।তাই যে  অবস্থায় ই থাকি না কেন আমাদের মহান প্রতিপালক ,মহান আল্লাহর সাহায্য বা রহমত আমাদের জন্য একান্ত জরুরী।তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি তার নিকট সাহায্য প্রার্থনা করা। তিনিই সর্বাবস্থায় সাহায্যকারী। 

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যদি আমরা ইসলামকে প্রাধান্য দিতে শিখি, তাহলে ইহকালীন এবং পরকালীন উভয় জীবনে আমরা সুখী হতে পারব, ইনশাআল্লাহ।তাই আসুন  ঈমানী শক্তির দ্বারা আমরা সকলে নিজেদের জীবনকে সুন্দর ও বরকতময়ভাবে গড়ে তুলি, এতে ব্যক্তিগত উন্নয়নের সাথে সাথে সমাজ এবং রাষ্ট্রের ও উন্নতি সাধিত হবে এবং সুন্দর একটি আগামীর সুচনা হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্ক্রোলিং ষ্টেশন ২৪-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url