বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করার ১০ টি উপায়

বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করার ১০ টি উপায় আজকের এই পোস্টটিতে আপনাদের জন্য খুবই উপকৃত হতে যাচ্ছে। বিশেষ করে যারা আপনারা ছাত্র-ছাত্রী হয়ে আছেন তাদের জন্যই খুবই উপকার হবে।


বিনা পুঁজিতে অথবা শূন্য টাকায় কিভাবে ব্যবসা শুরু করতে পারেন তার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আজকের আমাদের এই পোস্ট । কিভাবে বিনা পুঁজিতে মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব আজকে আমরা সেসব উপায় নিয়ে আলোচনা কর।

নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চানঃ 

কিভাবে আপনি নতুন ব্যবসা শুরু করব

অনেক উদ্যোক্তায় আছেন যারা ভাল আইডিয়া পেলেই প্রতিযোগিতায় নামানোর আগ্রহ প্রকাশ করেন । কিন্তু ভালো আইডিয়া পেলেই তাতে লাভজনক ব্যবসা নিশ্চিত হবে তা কিন্তু নয়।  ব্যবসার জগতে দীর্ঘ সময়ের জন্য সফল হতে হলে নানা রকম চড়াই-উতড়াই পেরোনোর সাহস প্রয়োজন। তবে যারা ব্যবসার এই পরিকল্পনা পরিকল্পনা থেকে একটু পিছু করতে চান না এবং নিজেদের আকাঙ্ক্ষা অটুট রাখতে চান তারাই সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন।


নতুন ব্যবসা শুরু করার সর্বপ্রথম যেটা মনে রাখতে হবে তা হলো আয়ের উৎস। অর্থাৎ আপনি কি থেকে আয় করবেন । এরপর আপনাকে বেছে নিতে আপনি ব্যবসা কোন ধরনের করবেন ।এরপর আপনাকে সেই মার্কেটের জন্য বাজার যাচাই করতে হবে অর্থাৎ আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী কতজন, তারা কেমন অবস্থানে অবস্থান করছে ইত্যাদি ইত্যাদি।এরপর আপনাকে যেটি মাথায় রাখতে হবে তা হলো আপনার প্রোডাক্ট এর ক্রেতা সম্পর্কে। অর্থাৎ আপনার ক্রেতার  চাহিদা ,রুচি ইত্যাদি বিষয়ে  জানতে হবে ।


নতুন ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে ন্যূনতম কার্যকর পণ্য তৈরির দিকে মনোযোগ দেয়া উচিত তবেই নতুন উদ্যোক্তা লাভবান হতে পারবে ।এছাড়া বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেয়া সব থেকে বুদ্ধিমানের কাজ। অর্থাৎ এই ব্যবসায় আগে থেকে যারা আছে তাদের সান্নিধ্য লাভ করুন এবং এ ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন । এছাড়া আরেকটি বিষয় মনে রাখতে হবে নিত্য নতুন নতুনত্ব খুঁজে বের করা, যাতে আপনার ক্রেতারা আকর্ষিত হয়। সকল বিষয় মাথায় রাখলে নতুন ব্যবসা অনায়াসে শুরু করতে পারেন ।

অল্প টাকায় কি কি ব্যবসা করা যায়

আপনার কাছে যদি স্বল্প পুঁজি অর্থাৎ পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা থাকে তবে আপনি একটি ছোট আকারে কফি শপ অথবা  ফাস্ট ফুড কর্নার দিতে পারেন। কফি শপে বিভিন্ন ধরনের মজার মজার কফি বিক্রি করতে পারেন এবং ফাস্ট ফুড কর্নারে চটপটি, ফুচক, নুডুল, মম ইত্যাদি বিক্রয় করতে পারে। এছাড়াও আপনি আরো কসমেটিক্স সপ দিতে পারেন। যেখানে আপনি নতুন নতুন কসমেটিক্স বিক্রয় করতে পারেন।

এছাড়া আপনি আরও স্টেশনারি সপ দিতে পারেন স্কুল এবং কলেজ এর শিক্ষার্থীদের জন্য। এছাড়া খেলনার দোকান তো রয়েছেই ছোট বাচ্চাদের জন্য। তবে বর্তমানে সব থেকে বড় একটি ব্যবসা হলো ফটোগ্রাফি ব্যবসা। আপনি কফি শপের পাশাপাশি জুসবার এর দোকান দিতে পারেন । এখানে আপনি কফির সাথে বিভিন্ন ধরনের জুস বিক্রয় করতে পারবেন। সুতরাং আপনার স্বল্প পুজি থাকলে উপরের ব্যবসা গুলো অনায়াসে শুরু করতে পারেন ।

শহরে ব্যবসার আইডিয়া

  1. শহরে ব্যবসার বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় ব্যবসা হল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। এই ব্যবসায় আপনি সামান্য ইনভেস্ট করলেই বেশ মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন । সাধারণত যেসব অনুষ্ঠান  সাধারণত শহরে হয়ে থাকে সেগুলোতে ঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা ও ডেকোরেট করতে পারার নামে হইল ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ।  যে কোন ধরনের ইভেন্ট যেমন বিয়ে, জন্মদিন, সুন্নাতে খতনা , গায়ে হলুদ , ইত্যাদি   ঠিকমত ম্যানেজ করতে পারলে আপনি মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর কাজ শুরু করতে পারেন । 
  2. অর্গানিক ফুড বিক্রয়ের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন আপনার বাসায় বিভিন্ন ধরনের মজার মজার সুন্দর সুন্দর খাবার তৈরি করতে পারে এরপরে তা ফেসবুকের মাধ্যমে মানুষের বাসায় ডেলিভারি দিতে পারেন এতে আপনি কম খরচে বেশি পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
  3. আরেকটি শহরের ব্যবসার মধ্যে অন্যতম হলো ফার্মেসির ওষুধ ডেলিভারি । এমন অনেক বাসায় বৃদ্ধ মানুষ রয়েছে যাদের রেগুলার ওষুধের প্রয়োজন হয় । কিন্তু তাদের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে অনেক অসুবিধা হয় । তাই আপনি তাদের হয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে তাদের বাসায় ডেলিভারি দিতে পারেন এতে আপনি টাকা লাভ করতে পারেন ।

গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া

  1. গ্রামে ব্যবসার মধ্যে অন্যতম হলো ডেইরি ফার্ম দেয়া। 
  2. এছাড়া আপনি  মাছের খামার করতে পারেন তার সাথে হাঁস-মুরগির খামার করতে পারেন।
  3.   বর্তমান যুগে এগুলো হলো সব থেকে জনপ্রিয় ব্যবসা। ফুলের ব্যবসা হল আরেকটি ইউনিক ব্যবসা এ ব্যবসায় উদ্যোক্তা খুবই কম তাই আপনি ব্যবসাটি করতে পারেন
  4. আরেকটি ব্যবসা হল মোটরসাইকেল মেরামত ও সার্ভিসিং সেন্টার শহরের মতো গ্রামেও অনেক মোটরসাইকেল রয়েছে তবে তাদের মেরামতের জন্য ভালো কোন দোকান নাই তাই আপনি সুযোগ কাজে লাগাতে পারেন । 
  5. এছাড়া আপনি গ্রামে মৌসুমী ব্যবসা করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের মৌসুমী সবজি চাষ করতে পারেন ।
  6.  আরেকটি ব্যবসা আপনি করতে পারেন যা হল ইন্টারনেট সেবা দেয়ার ব্যবসা । বর্তমানে দেশে সব জায়গায় ইন্টারনেটের প্রয়োজন অনেক বেশি । কিন্তু গ্রামে ব্রডব্যাংকের সুবিধা খুব কম তাই এই সুবিধা আপনি গ্রামবাসীকে দিতে পারেন আপনার ব্যবসার মাধ্যমে। 

টিফিন ডেলিভারির মাধ্যমে আয়

এবার আসি কোনো প্রকার কোন টাকা ইনভেস্ট ছাড়াই আপনি কি কি করতে পারেন অর্থাৎ কি কি ব্যবসা করতে পারেন। 

এরমধ্যে খুবই কম জনপ্রিয় কিন্তু খুবই সহজ একটি ব্যবসা হল টিফিন ডেলিভারি অর্থাৎ আমাদের এলাকার স্কুল-কলেজের থেকে শুরু করে চাকরিজীবী মানুষদের জন্য আপনি টিফিন ডেলিভারি দিতে পারেন । এই টিফিন টি হইতে পারে আপনার তৈরি করা কোন খাবার অথবা তাদের বাসায়  তৈরি করা কোন খাবার।  বর্তমান সময়ে ব্যস্ততার জন্য আমাদের চাকরিজীবী  ভাই বোনদের খাওয়ার অনেক কষ্টকর হয়ে যায় তাই এই সমস্যা সমাধানে তাদের বাসা থেকে তাদের জন্য বানানো টিফিন কালেক্ট করে তাদের কাছে পৌঁছে যেতে পারেন। 

ঠিক একইভাবে আপনি স্কুল কলেজের ভাই-বোনদের কাছেও তাদের বাসার টিফিন পৌঁছে যেতে পারেন । এছাড়া আপনি আপনার নিজের একটি ক্যাটারিং খুলতে পারেন যেখান থেকে আপনি লাঞ্চ এবং ডিনার সাপ্লাই করতে পারেন। ক্যাটারিং সার্ভিস এর ক্ষেত্রে আপনি খাওয়ারসহ ডেলিভারি চার্জ দিবেন। তবে যদি তাদের বাসা থেকে তাদের টিফিন কালেক্ট করে আপনি তাদের কাছে পৌঁছে দেন সে ক্ষেত্রে আপনি ডেলিভারি চার্জটুকু তাদের কাছ থেকে নিতে পারেন । এই ব্যবসার কম্পিটিটার কম এবং খুবই সহজ । 

ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

অনেক আগে থেকেই আমরা ক্লাসে শব্দটির সাথে পরিচিত। ২০২৫ এ এসে ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব এবং ফ্রিল্যান্সিং থেকেই অনেক টাকা আয় করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য আপনাকে প্রথমে যেকোনো একটি স্ক্রিল ডেভেলপ করতে হবে । এগুলো হইতে পারে গ্রাফিক্স ডিজাইনই কিংবা ভিডিও এডিটিং বা এসিও মার্কেটিং কিংবা ব্লগ রাইটিং কিংবা ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি ইত্যাদি ।তবে এই ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য আপনাকে প্রচুর সময় ধৈর্য ধরে রাখতে হবে এবং বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং সাইট যেমন ফাইবার ,আপ ওয়ার্ক ,ফ্রিল্যান্সার ডটকম  এ ধরনের সাইটগুলোতে রেগুলার এপ্লাই করতে হবে এবং একটা সময় পড়ে আপনি ঠিকই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের বেসিক কোর্সের জন্য আপনি ইউটিউবে অনেক ধরনের ভিডিও পাবেন।  যেগুলো সম্পূর্ণ ফ্রি এবং অনেক কোয়ালিটি ফুল তাই আর দেরি না করে আজই আপনার ইচ্ছেমতো এবং আপনার পছন্দ আছে এমন স্কিলটি বেছে নিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নিজের সময় দিন। তবে একটি কথা বলতে চাই ফ্রিল্যান্সিং কখনোই নিজের প্রধান আয়ের উৎস হতে পারে না এবং চিরকালের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করব এমন চিন্তা ভাবনা করা ঠিক নয় ইনকাম সাইট হিসেবে বেছে নিলে সব থেকে ভালো হয়। 

তবে অনেক সহজে এবং কম সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর যে কোন স্কিল শিখতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইটে ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোর্স আছে আপনি তা দেখতে পারেন।

টিউশনি করায় আয়

বর্তমান সময়ে স্টুডেন্টদের জনপ্রিয় আয়ের একটি উৎস হল টিউশনি। আপনি যে কোন ক্লাসে থাকা অবস্থায় টিউশনি করাতে পারেন। তবে এজন্য  আপনাকে অবশ্যই একটি বিষয়ে পারদর্শী হতে হবে এবং আপনি যে বিষয়ে টিউশনি করাবেন সেই বিষয়ে আপনার দক্ষতা ভালো থাকা লাগবে ।

এখন আপনার প্রশ্ন হতে পারে আমি টিউশনি পাব কোথায় টিউশনে পাওয়ার জন্য অনেক ওয়েবসাইট আছে ।এছাড়াও ফেসবুকে অনেক পেজ অনেক গ্রুপ আছে আপনি সেখানে রেগুলার চোখ রাখলে আপনি টিউশনি পেয়ে যাবেন। বর্তমানে শূন্য পুঁজিতে আয় করার সবথেকে সহজ একটি মাধ্যম হলো টিউশনি করানো। 

ভিডিও এডিট করে আয়

বর্তমান সময়ে যে স্কিলটার ডিমান্ড দিনে দিনে বাড়ছে তা হল ভিডিও এডিটিং ।এখন আমরা সবাই রিল ,শর্ট দেখতে পছন্দ করি ।তাই ভিডিও এর চাহিদা বাড়ছে তার সাথে ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা বাড়তেছে।

 এই স্কিলটি দিন দিন বাড়তেছে। অনেক ফেসবুক ইনফ্লুয়েন্সার ইনস্টাগ্রাম ইনফ্লুয়েন্সার তাদের পেজে ভিডিও এডিটর খোঁজে। এমনকি ইউটিউব ইনফ্লুয়েন্সার  রাও ভিডিও এডিটর খোঁজে ।বর্তমানে শর্ট ভিডিও অনেক ভাইরাল তাই আপনি যদি ভিডিও এডিটিং ভালোভাবে শিখতে পারেন তাহলে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন ।

ভিডিও এডিটিং শেখার জন্য আপনি ইউটিউবে সাহায্য নিতে পারেন ।সেখানে অনেক ফ্রি কোর্স আছে। সেখানে আপনি জিরো থেকে হিরো হতে পারে। তবে এজন্য আপনাকে সময় দিতে হবে ।

 ভিডিও আপনি কার জন্য এডিট করবেন তা খোঁজার জন্য ইনফ্লুয়েন্সারদের একাউন্টে ইমেইল বা মেসেজ করতে পারেন এভাবে চেষ্টা করতে করতে আপনি একসময় আপনার ক্লায়েন্ট পেয়ে যাবেন।

ক্লায়েন্ট না পেলেও আপনার ভিডিও এডিটিং স্কিল দিয়ে আপনি নিজেই ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন যা আমরা এরপরের বিষয়ে আলোচনা করব।

ইউটিউবিং করে আয়

বর্তমান সময়ে ইউটিউব এর বিষয়ে জানিনা এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন । এমন কিছু নাই যা ইউটিউবে নাই ।তাই আপনার কোন স্কিল থাকলে তা আপনি  ইউটিউবে প্রকাশ করতে পারেন।

 পূর্বের ব্যবসার আইডিয়ায় আমরা আলোচনা করেছিলাম ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে আয় ।আপনার সেই ভিডিও এডিটিংটা কাজে লাগিয়ে আপনি ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন।

ইউটিউব থেকে আপনি ২-৩ ভাবে আয় করতে পারেন ।

  • প্রথমত আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে টাকা  ইনকাম করতে পারেন ।
  • এছাড়াও বিভিন্ন প্রোমোশনাল ভিডিও বানানোর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন ।
  • তাছাড়া আপনার নিজের কোন ব্যান্ড এর মার্কেটিং এর জন্য আপনার ইউটিউব ভিডিও করতে পারে।

এবং প্রতি ভিডিও র উপর ডিপেন্ড করে ইউটিউব মোটা অংকে টাকা দেয় তাই বিনা পুঁজিতে ব্যবসা করার জন্য ইউটিউব ইজ দ্যা বেস্ট অপশন।

ড্রপ শিপিং করে আয়

টপ শিপিং আসলে কি । যারা নতুন শুনছেন তাদের কাছে ব্যাপারটি কঠিন মনে হলেও এটা খুবই সহজ জিনিস । সোজা কথায় বলতে কারো কাছ থেকে কোন কিছু অর্ডার নিয়ে তা সাপ্লাইয়ার এর কাছ থেকে নিয়ে অর্ডারকারীকে  পণ্যটি সরবরাহ করায় আসলে ড্রপ শিপিং ব্যবসা । এক্ষেত্রে আপনাকে প্রোডাক্টটি নিজের কাছে আনতে হচ্ছে  না বরং সাপ্লায়ার তাকে সরাসরি তার এড্রেসে প্রোডাক্টটি পাঠিয়ে দেবে।

ড্রপ শিপিং শুরু করার ক্ষেত্রে যেটা সবথেকে বেশি প্রয়োজনীয় তাহলে একটি দোকান বা স্টোর । এ দোকানটি অফলাইন কিংবা অনলাইনে হইতে পারে।  অর্থাৎ আপনি প্রথম অবস্থায় আপনার একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে পারেন।  এরপরে আপনার ফেসবুক পেজে আপনি যে প্রোডাক্টটি সেল করতে চান তার বিভিন্ন ধরনের এড দিতে পারেন।

 ধরুন আপনি একটি কাপড় এর পেজ খুললেন এবং আপনি তাতে কাপড় বিক্রি করতে চান তাই আপনি সেই কাপড়ের বিভিন্ন ছবি ভিডিও পোস্ট করবেন এবং মানুষ তা দেখে  আকর্ষিত হয়ে আপনাকে আপনার কাছ থেকে সেই কাপড়টি কিনতে চাইবে ।এরপর আপনি আপনার সাপ্লাইয়ার কে আপনার কাস্টমারের এড্রেস দিয়ে মেসেজ করবেন ।আপনার সাপ্লায়ার তাকে সেই প্রোডাক্টটি পাঠিয়ে দেবে।  আপনি আপনার কাস্টমারের কাছ থেকে টোটাল টাকাটা নিয়ে আপনার পার্সেন্টেজ আপনার কাছে রাখবেন এবং বাকিটুকু  সাপ্লায়ার কে দিবেন। 

এক্ষেত্রে আপনার কোন পুঁজি লাগবে না শুধু একটু বুদ্ধি খাটাতে হবে এবং বেশি বেশি পরিমাণে ফেসবুকে বা ইনস্টাগ্রামে মানুষকে রিচ করতে হবে।  তবেই আপনার পোস্ট মানুষ দেখবে এবং আপনার কাছ থেকে কিনতে চাইবে। বাংলাদেশ ড্রপ  শিপিং এর জন্য সবথেকে ভাল ওয়েবসাইট বলতে পারেন ড্রপ শপ।

ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসা

বর্তমান যুগে মানুষেরা অনেক বেশি বেশি ট্রাভেল করতে পছন্দ করে।  এই সুযোগকে আপনি কাজে লাগিয়ে একটি ট্রাভেল এজেন্সি হতে পারেন ।  এ ট্রাভেল এজেন্সির কাজ হবে মানুষকে তাদের পছন্দের জায়গা করে নিয়ে আসা। সেক্ষেত্রে আপনি একটি ট্যুর প্যাকেজ তৈরি করতে পারেন । দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শুরু করে দেশের বাইরের বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর প্ল্যান করতে পারেন।  সে ক্ষেত্রে আপনি একটি মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারবেন কোন রকম ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই।

অনলাইনে বই বিক্রির মাধ্যমে আয়

আপনার বাসার পুরনো বইগুলো আপনি অনলাইনে বিক্রি করে দিতে পারেন । এছাড়া ড্রপ শিপিং বিজনেসের মতো  আপনার এলাকার দোকান থেকে পাইকারি মূল্যে বই কিনে তা অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন । বর্তমান বাজারে এখনো ওই প্রেমীরা রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের বই পড়তে ইচ্ছুক । এই অবস্থাকে আপনি কাজে লাগিয়ে অনলাইনে বই বিক্রির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

শেষকথা

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্ক্রোলিং ষ্টেশন ২৪-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url