ফ্রীলান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। যেমন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বিভিন্ন কাজ রয়েছে তেমনি বিভিন্ন কাজের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কিছু কাজ আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
আপনারা যারা মনে করেন যে ফ্রিল্যান্সিং কঠিন তাদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর ১০টি জনপ্রিয় কাজ বা সহজ কাজের  বিভিন্ন সেক্টর নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করব। সম্পূর্ণ বিষয় ক্লিয়ার করে বলা হয়েছে আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।

নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান 

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ : ডিজিটাল মার্কেটিং 

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ এর মধ্যে ডিজিটাল মার্কেটিং সবচেয়ে ডিমান্ডেবল একটি সেক্টর। যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করছি সম্পূর্ণ করতে পারেন, তো মাস শেষে আপনি বিশাল অংকের একটি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং-এ জব করার চেয়ে জব দেওয়াটা বেশি পছন্দ করেন ডিজিটাল মার্কেটাররা। কেননা  জব সব সময় এভেইলেবল থাকে না। 

ডিজিটাল মার্কেটিং এর কয়েকটি প্রকার রয়েছে। যেমন:- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং(SEM), কনটেন্ট মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, অনলাইনে অ্যাডভার্টাইজিং সহ বিভিন্ন মার্কেটিং ধরন রয়েছে। এগুলোর প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা ডিমান্ড রয়েছে। যারা এসব কাজ নিয়ে রিসার্চ করেন তারা এ বিষয়ে ভালো জানেন। 

প্রত্যেকটি মার্কেটপ্লেসে এগুলো কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। যারা নতুন ব্যবসা করেছেন তাদের ব্যবসাকে অ্যাডভার্টাইজের মাধ্যমে কাস্টমার এনে দেওয়া ডিজিটাল মার্কেটারদের প্রধান কাজ। যদি অফলাইনে করতে চাই সেটা অফলাইনেও পারবে অনলাইনে করতে চাই অনলাইনে। ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে পারলে মাস শেষে খুব ভালো এটি ইনকাম করা সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি  জনপ্রিয় কাজ: ডাটা এন্ট্রি 

ডাটা এন্ট্রি খুবই জনপ্রিয় একটি কাজ। ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজের মধ্যে সবচেয়ে সহজ এবং চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ। ডাটা এন্ট্রি নতুনদের জন্য রিকমেন্ডেড থাকলো, যারা অল্প সময়ে কিছু শিখে টাকা ইনকাম করতে চান তাদের জন্য ডাটা এন্ট্রি খুব ভালো একটা অপশন। ডাটা এন্ট্রি করে আপনি মাস শেষে অনায়াসেই ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে এমন কাজ যেখানে আপনাকে excel বা গুগল ডক্স এর মাধ্যমে কিছু তথ্য তালিকা বদ্ধ করে জমা করতে হবে। এবং এটা খুব অল্প সময়ে করা সম্ভব। হাতে যেকোনো ডিভাইস থাকলে করা সম্ভব। তাই ডাটা এন্ট্রি এতই চাহিদা সম্পন্ন যে প্রত্যেকটা নতুন ফ্রিল্যান্সার এই কাজের দিকে ঝোক দেয়। কিন্তু মার্কেটপ্লেসে এগুলোর কাজ পেতে হলে অনেক পরিশ্রম ও উপস্থিত বুদ্ধি থাকা প্রয়োজন। 
ফ্রিল্যান্সিং এর ১০টি জনপ্রিয় কাজ এবং সহজ কাজ হল এই ডাটা এন্ট্রি কিন্তু ডাটা এন্ট্রির মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার খুবই কষ্টকর। তাই উপস্থিত বুদ্ধির সহায়তায় বাহির থেকে ক্লাইন্ট অর্জন করতে হবে এতে খাটনি আছে তবে একবার ক্লাইন্ট কাজ পছন্দ করে নিলে আপনার কাজ পেতে আর সমস্যা হবে না। সে আপনাকে প্রতিবার কাজ দিবে এবং তার প্রতিবেশী ক্লায়েন্টদেরকেও রিকমেন্ড করবে আপনার কাছে কাজ করে নেওয়ার।

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি  জনপ্রিয় কাজ: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ফ্রিল্যান্সিংয়ের ১০ টি জনপ্রিয় কাজ এর মধ্যে অন্যতম একটি কাজ। যা যে কোন ডিভাইস থেকে করা সম্ভব। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি সেক্টর, যা facebook, whatsapp, youtube, instagram যে কোন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে করা যায়। মার্কেটপ্লেসে এদের চাহিদা কম থাকলেও বাইরের জগতে এদের চাহিদা অনেকটাই বেশি। 

যারা পড়াশোনা বা জব করছেন তাদের ফাঁকা সময়টা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিছু বাড়তি ইনকাম সম্ভব। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাধারণত স্টুডেন্টরাই বেশি করেন। এখানে শুধু অন্যের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিজের প্ল্যাটফর্মে দিয়ে বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন পাওয়া। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইট তাদের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের  মাধ্যমে বিক্রি করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে সুবিধা হলো নিজের অধিক পরিশ্রম করতে হয় না। যার পণ্য বা যার সার্ভিস তার পরিশ্রম সেই সার্ভিস বা পণ্যের ওপর থাকে। আপনার কাজ হচ্ছে শুধু সেই প্রোডাক্টের লিংক বা সার্ভিসের লিংক আপনার প্লাটফর্মে দিয়ে বিক্রি করানো। যা থেকে কিছু অংশ কমিশন আপনাকে দিবেন সেই প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের মালিক। এভাবে এফিলেন্ট মার্কেটিং করে দেশের বাইরে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনছেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি  জনপ্রিয় কাজ: কন্টেন্ট রাইটিং 

কন্টেন্ট রাইটিং হলো সবচেয়ে ডিমান্ডেবল এবং সহজ একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ। ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ এর মধ্যে সবচেয়ে পছন্দনীয় একটি কাজ যা আমি করি। আমি আপনাদের সবাইকে রিকমেন্ড করব এই কাজটি যদি শিখে থাকেন তো অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে এবং এটি প্র্যাকটিক্যাল লাইফেও অনেক উপকারী হবে। লেখালেখি করা খুবই ভালো একটি অভ্যাস। এতে যেমন নিজের ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, প্রতিভা প্রকাশ পায় তেমনি আপনার লেখালেখির কারণে অনেকেই উপকৃত হয়। 
প্রত্যেকটা কনটেন্ট রাইটারের একটি বিশেষ স্কিল থাকা দরকার। ভালো-মন্দ জ্ঞান, মানুষের রুচি সম্পর্কে ধারণা, ভাষা বিষয়ে জ্ঞান সহ জনপ্রিয় সকল বিষয়ের উপরে লেখালেখি করা। যারা লেখালেখি করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য কন্টেন রাইটিং হলো অন্যতম একটি অপশন। মার্কেটপ্লেস গুলোতে বেশ জনপ্রিয় এই স্কিলটি। আবার আপনি গভর্নমেন্ট/ নন গভর্নমেন্ট জব করতে গেলেও এই স্কিলটি আপনার বেশ উপকার করবে। 

আপনারা কি জানেন ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ এর মধ্যে কেন কনটেন্ট রাইটিং আমি বেছে নিয়েছি। কারণ এতে আপনার পড়াশোনা অথবা জব দুটোই সঠিকভাবে করতে পারবেন এবং নিজের কিছু বাড়তি অর্থ ইনকামের সুযোগ পাবেন। লেখালেখি যেহেতু করা লাগে আমাকে হয় পড়াশোনায় না হয় অনলাইন যেহেতু দুই জায়গায় করতে আমার খুব একটা সমস্যা হয় না। এখন আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে আমি লেখালেখি কোথায় করে টাকা ইনকাম করি তা নিয়ে বিস্তারিত শেষ কথায় সব আলোচনা করা হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি  জনপ্রিয় কাজ: গ্রাফিক্স ডিজাইন 

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ এর মধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন কে কেন রেখেছি? এরকম প্রশ্ন অনেক জনেরই থাকতে পারে। ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে প্রফেশনাল এবং জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। যা শিখতে পারলে আপনার ভবিষ্যতে পড়াশোনা করে চাকরি করার কথা চিন্তা করা লাগবে না। কেননা গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা মাস শেষে পাঁচ থেকে সাত লাখ ইনকাম করতে পারেন কোন একটা ক্লায়েন্টের কাজ করে। 

মার্কেটপ্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইন অন্যরকম হাইপে থাকে। কেননা লোগো ডিজাইন এবং ব্যানার, থাম্নেইল সহ অন্যান্য এডিটিং এ প্রত্যেকটা কোম্পানির ভালো ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের দরকার পড়েন। তারা গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের ঘন্টা প্রতি বা চুক্তি হিসেবে কাজ দিয়ে থাকেন। দিন দিন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা বেড়েই চলেছেন। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন যদি একবার শিখে ফেলতে পারেন এই সেক্টরে কাজ পাওয়াটাও অনেক সহজ তবে শেখাটা একটু কঠিন। 

যাদের ভালো ডিভাইস আছে বা ভালো কনফিগারেশন এর পিসি আছে শুধু তারাই গ্রাফিতে ডিজাইন শিখতে আগ্রহী হন। কেননা প্রফেশনাল লেভেলের একটি স্কিল শিখতে গেলে অবশ্যই আপনাকে একটি ভাল মানের ডিভাইস রাখতে হবে। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। শুধু দরকার সঠিক পদ্ধতি ও অদম্য পরিশ্রম। যারা করতে সক্ষম হবেন তারা অবশ্যই এটি শিখবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি  জনপ্রিয় কাজ: ভিডিও এডিটিং 

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ এর মধ্যে ভিডিও এডিটিং সবচেয়ে সেরা এবং প্রফেশনাল একটি কাজ। যা গ্রাফিক্স ডিজাইনের চেয়েও বেশি ডিমান্ডেবল। কেননা এখন সবকিছুই অনলাইন। কোন কিছু প্রচার-প্রচারণা, বড় বড় ইউটিউবার, নিউজ চ্যানেল সহ অন্যান্য আরো যারা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি রয়েছেন তারা সকলেই ভিডিও এডিটরের ওপর নির্ভরশীল।
ভিডিও এডিটর ছাড়া একটি ইন্ডাস্ট্রি চালানো খুবই কষ্টকর। বড় বড় ইন্ডাস্ট্রি পরিচালনা করেন তারা তাদের ইন্ডাস্ট্রির প্রচারের জন্য অ্যাড ম্যানেজমেন্ট সহ অন্যান্য প্রচার-প্রচারণায় যেসব ভিডিও করে থাকেন সেগুলোকে সুন্দরভাবে এডিট করতে পারে একজন এডিটর। হাতেগোনা বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান ভিডিও এডিটিং শিখিয়ে থাকেন। যারা আগ্রহী তারা অবশ্যই সেসব রিকমান্ডেড প্রতিষ্ঠানগুলোতেই যাবেন। 

ভিডিও এডিটিং ঘণ্টা প্রতি বা চুক্তিবদ্ধ ভাবে  বিভিন্ন কাজ করায়। এছাড়াও মার্কেটপ্লেস গুলোতে আপনি আপনার ভিডিও এডিটিং এর পোর্টফোলিও দিয়ে অনেক ফাইন ম্যানেজ করতে পারেন। ভিডিও এডিটিং এর ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল। যদি ভিডিও এডিটিং শিখতে পারেন তো আপনার লাইফ সেট। দিনের পর দিন ভিডিও এডিটিং এর চাহিদা বেড়েই চলেছে।

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি  জনপ্রিয় কাজ: ট্রান্সক্রিপশন 

ট্রান্সক্রিপশন এখনকার যুগে খুবই জনপ্রিয় কাজের তালিকাভুক্ত হয়েছে। কনটেন্ট রাইটিং এর মত ট্রান্সক্রিপশন হল ভাষা থেকে ভাষা পরিবর্তন, কোন ডকুমেন্ট থেকে ডকুমেন্ট প্রতিলিপন করার জব। মার্কেটপ্লেসগুলোতে অনেক ক্লাইন্ট বা বায়ার আছেন যারা একটি ডকুমেন্টের ভাষা অথবা ফরমেট বুঝতে পারেন না। তারা তখন ট্রান্সক্রিপশন করতে পারে এমন লোকদের খুজেন। 

ট্রান্সক্রিপশন শিখে প্রতি মাসে প্রায় ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা অনায়াসে ইনকাম করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে ভাষা বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে এবং কাজ করার ক্ষমতা ও  ক্লাইন্টকে বোঝানোর অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক। ট্রান্সক্রিপশন করতে হলে অবশ্যই কম্পিউটার বিস্তারে ভাল দক্ষতা থাকতে হবে। ট্রান্সক্রিপশন জবের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ এর তালিকায় রয়েছে ট্রান্সক্রিপশন। তবে  বাংলাদেশের কেমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই যারা ট্রানসক্রিপশন কোর্স শিখায়। তাই আপনি ইউটিউবে এ বিষয়ে ভালো তথ্য পাবেন। যদি ট্রান্সক্রিপশন শিখাই ইনকাম করতে চান তাহলে ইউটিউবে অনেক ভিডিও রয়েছে যেগুলো আপনাকে অনেকটা উপকার করবে।

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি  জনপ্রিয় কাজ: ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট 

ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর কাজ ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে খুবই জনপ্রিয় একটি কাজ। এটি একটি প্রফেশনাল স্কিল যারা ইঞ্জিনিয়ার তাদের জন্য এখানে জব পাওয়ার খুব ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইঞ্জিনিয়ার বাদেও আপনি এই কোর্স যদি করে থাকেন তাহলে খুব ভালো একটি ভবিষ্যৎ ঘটতে পারবেন। ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানের জন্য আবশ্যক। 

ওয়েব ডিজাইনিং এবং ডেভেলপমেন্ট যারা করেন তারা এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে টার্গেট করে তাদের ওয়েবসাইটকে সুন্দর ভাবে সাজান। ওয়েবসাইট এখন প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানেরই নিজস্ব ভাবে থাকে। তারা তাদের ওয়েবসাইটকে সুন্দরভাবে সাজাতে বিভিন্ন ডিজাইনার এবং ডেভলপার হায়ার করেন। এছাড়াও প্রতিটা মার্কেটপ্লেসে এসবের বায়ার বা ক্লায়েন্ট রয়েছেন। 

আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার এবং ডেভেলপার হতে চান তাহলে আপনাকে এর ওপরে কোর্স শিখতে হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসব করছি খেয়ে থাকেন তবে বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান খুঁজে নেওয়া দায়িত্ব আপনার। এ পোস্ট শেষে আমরা আপনাদেরকে কিছু বিস্তারিত প্রতিষ্ঠানের লিংক দিয়ে দিব আপনার তাদের কাছে এসব কোর্স করতে পারে না। 

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি  জনপ্রিয় কাজ: সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ এর মধ্যে অন্যতম। প্রত্যেকটা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রচার-প্রচারণার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যানেজার হিসেবে কিছু লোক নিয়োগ দেন। শুধু এমন নয় যে তারা আপনাকে নিজে থেকে এসে নিয়োগ দেবেন আপনাকেও তাদের কাছে যে কাজের খোঁজ করতে হবে। 

সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার খুবই আনন্দ মুখর একটি জব। আমরা যেভাবে দৈনন্দিন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবে পোস্ট করে থাকি। ঠিক তেমনি নিজের জন্য পোস্ট না করে উক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উক্ত প্রোডাক্ট সার্ভিসের ভিডিও অথবা ছবি পোস্ট করতে হয়। এসব পোস্ট করার মাধ্যমে কাস্টমার তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস কিনে থাকেন। এতে প্রতিষ্ঠানের বিক্রি করে লাভ হয় আর সেখান থেকে আপনাকে বেতন দেয়। 
আপনি চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজারের জব ফিজিক্যালি খুঁজতে পারেন অথবা মার্কেটপ্লেসের আপনার পোর্টফোলিও দিয়ে জবের জন্য খোঁজ করতে পারেন। এইভাবে চাহিদাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাই আপনি যদি এই স্কিলটি শিখতে চান, তাহলে বিশ্বস্ত কিছু প্রতিষ্ঠান এবং ইউটিউবের সহযোগিতা নিতে পারেন। এখানেও মাস শেষে ২০ থেকে ৪০ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব।

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি  জনপ্রিয় কাজ: 2D/3D অ্যানিমেশন

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০টি জনপ্রিয় কাজ এর মধ্যে সবচেয়ে কঠিন এবং দামি একটি স্কিল হচ্ছে 2D/3D অ্যানিমেশন। কেননা ভিডিও এডিটিং এর এটি একটি অন্য পার্ট। আমরা অনেক কার্টুন দেখে থাকি যা এই 2D/3D অ্যানিমেটররা তৈরি করে থাকে না। যেমন ডোরেমন একটি বিখ্যাত 2D অ্যানিমেশন। আবার বাংলাদেশী এনিমেটর রয়েছেন শামীমা শ্রাবণী ও অন্তিক মাহমুদ। অ্যানিমেশন এর চাহিদা কখনোই কমবে না।
2D/3D অ্যানিমেশন শিখতে পারলে বিখ্যাত সব ইন্ডাস্ট্রিগুলা আপনাদের হায়ার করবেন। শুধু ইন্ডাস্ট্রি নয় আপনি চাইলে ইউটিউব অথবা ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে ও মাস শেষে দেড়-দুই লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কেননা অ্যানিমেশন এর চাহিদা অনেক। সকল বয়সের লোকজন অ্যানিমেশন পছন্দ করেন। ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে এটি একটি বেস্ট অপশন হবে আপনার জন্য। 
2D/3D অ্যানিমেশন চাহিদা বেড়েই চলেছে। এবং আজকের এই পোস্ট ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ এর সবচেয়ে প্রফেশনাল একটি কাজ হচ্ছে 2D/3D অ্যানিমেশন। বাংলাদেশের খুব অল্প পরিমাণের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এই কোর্স করিয়ে থাকেন। অবশ্যই আপনাদের জন্য কিছু রিকমেন্ডের প্রতিষ্ঠানের নাম আমি নিচে উল্লেখ করব। আপনারা চাইলে তাদের সাথে কন্টাক্ট করতে পারেন। যদিও এর কোর্স ফি অনেক বেশি, তবে ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল।

শেষ কথা

ফ্রিল্যান্সিং এর ১০ টি জনপ্রিয় কাজ, এই পোস্টে প্রত্যেকটি কাজেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং দামি। আপনি যে কোন স্কিল শিখতে পারবেন। তবে আপনার চাহিদা, পরিশ্রম করার ক্ষমতা, জীবন ব্যবস্থা, সুবিধা অসুবিধা, ডিভাইস, সময় অনুযায়ী। প্রতিটি সেক্টরের কাজই কঠিন আবার সবগুলোই সহজ। শুধু আপনার ইচ্ছা শক্তি আর পরিশ্রম দরকার। 

যেকোনো কাজ শিখতে সর্বনিম্ন তিন মাস থেকে সর্বোচ্চ এক বছর সময় লাগতে পারে। তবে আপনার ইচ্ছা থাকলে অল্প সময় আপনি শিখে ফেলতে পারবেন। তবে আপনার ইচ্ছা শক্তি থাকাটা অবশ্যই। পড়াশোনার পাশাপাশি যে কোন কাজ করতে পারেন। তবে আমি আপনাদের বিশেষ করে রিকমেন্ড করব কন্টেন্ট রাইটিং ও ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স দুটি করার। এতে সময় ম্যানেজমেন্টের খুব উপকার হবে এবং মাস শেষে কিছু অর্থ উপার্জন হবে। 

এবার আসি প্রতিষ্ঠানের কথায়, উপরে উল্লেখিত যতগুলো কাজের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তার অধিকাংশ কোর্স আপনি পেয়ে থাকবেন অর্ডিনারি আইটিতেঅর্ডিনারি আইটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বিশ্বস্ত একটি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে সকল হাতে ধরে পড়ানো হয় (অফলাইনে)। এছাড়াও আরো কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন এমএসবি একাডেমি, টেন মিনিট স্কুল ইত্যাদি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্ক্রোলিং ষ্টেশন ২৪-এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url